রক্তশূন্যতার যে লক্ষণগুলো- রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ায় শরীরে রক্ত কমে যায় না, বরং রক্তের একটি উপাদান হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এসময় আপনার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা কমে যায়। এতে করে আপনার শরীরের অক্সিজেন প্রবাহকে বাধা দেয়। তবে হঠাৎ করেই রক্তশূন্যতা দেখা দেয় না। আজ রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে জেনে নেব রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার পূর্বলক্ষণগুলো।
শ্বাস নিতে সমস্যা হলে এবং মাথা ঘোরালে: রক্তশূন্যতায় আক্রান্তের অন্যতম একটি লক্ষণ হলো আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন যেতে না পারার কারণে আপনার হঠাৎ করেই মাথা ঘোরায় কিংবা শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত ক্লান্তিতে ভোগা: ক্রমাগত অতিরিক্ত ক্লান্তিতে ভোগাও রক্তশূন্যতার লক্ষণ। তবে কেউ কেউ কাজ করার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন, আবার কেউ কেউ এমনিতেই হঠাৎ করে ক্লান্ত হয়ে উঠতে পারেন।
ত্বক হয়ে যেতে পারে বিবর্ণ: রক্ত সরবরাহে বাধা প্রাপ্ত হওয়ার কারণে আপনার শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ আপনার ত্বকেও ছাপ রাখে রক্তশূন্যতা। রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হলে আপনার ত্বক হয়ে যেতে পারে বিবর্ণ ও হলদেটে।
বুকে ব্যথা অনুভব: রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হলে আপনার হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি স্পন্দিত হয়। এতে করে আপনি হালকা থেকে মাঝারি বুক ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
বরফ খাওয়ার নেশা হলে: হঠাৎ করেই আপনার আইস কিউব অর্থাৎ বরফের টুকরা খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা জাগলে ধরে নিতে পারেন আপনার রক্তশূন্যতা হয়েছে। এছাড়াও বরফের পাশাপাশি বেকিং সোডা, কাদামাটি এমনকি পেনসিল খাওয়ারও অভ্যাস তৈরি হতে পারে। এসকল অদ্ভুত অভ্যাস হলে ভাববেন না যে মানসিক সমস্যা হয়েছে। রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হয়েছেন আপনি।
হাত ও পা ঠাণ্ডা হয়ে থাকা: তীব্র গরমেও হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আছে? হ্যাঁ, আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। অ্যানিমিয়ার ফলে যে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি সমস্যায় পড়েছেন, এটা থেকে আপনার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।
অস্বাভাবিক পরিমাণে মাথাব্যথা: সাধারণত মানসিক চাপ, নিদ্রা স্বল্পতা, দুর্বলতা থেকে মানুষের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু এসব কোনও কারণ ছাড়াই যদি আপনি অস্বাভাবিক পরিমাণে মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেটা রক্তশূন্যতার কারণ হতে পারে।
অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হলে: অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন কিংবা বুক ধকধক করলে ও হতে পারে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ।
তাই উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। অথবা রক্তশূন্যতা প্রাথমিক অবস্থায় থাকলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।